রংপুরে বিভাগীয় শহরে অঘোসিত লকডাউনের ১৪তম দিনের বর্তমান অবস্থান
শাহ মোহাম্মদ রায়হান বারী
আজ লকডাউনের ১৪তম দিনে রংপুর শহরে প্রয়োজনিও ঔষধের দোকান ও বাজারঘাট ছাড়া প্রায় সব দোকানেই বন্ধ রাখা হয়েছে। সকাল ছয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত এই সমস্ত দোকান খোলা থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও পাঁচটারপরে আর কোন দোকান খোলা না রাখার সরকারী নির্দেশ জাড়ি করাহয়েছে তবে সকল ঔষধের দোকান বিকাল পাঁচটার পরেও খোলা থাকিবে ।
রংপুরে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ গাড়ীতে বসে জনসমাগম থেকে বিরত থাকার আহব্বান জানাচ্ছেন অপর দিকে রংপুর সিটি কর্পোরেশন পানিবাহী ট্রাক বহন করছে ও জনসাধারণ দিগকে করোনা সসম্পর্কে গণসচেতনতা মাইকিং করতে দেখা গেছে।
গতকালের তুলনায় আজ রংপুর শহরের প্রধান সড়কে রিস্কা ও অন্যান্য ছোট ছোট যানবাাহন চলাচল করতে ও মালামাল পরিবহণ করতে দেখা যায় এখানে গতকালের ন্যায় কোন পুলিশি বাধা লক্ষ্য করা যায়নি।
গতকাল "প্রাইভেট ডিটেকটিভ " পত্রিকায় রিস্কা ও ছোট ছোট পরিবহন যানবাহনে পুলিশি বাধার কারণে সাধারণ জনগণের ক্রয়কৃত প্রয়োজনিয় মালামাল বহন করা বেশকষ্ট সাধ্যহয়ে পড়েছে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
আজকে নির্ভয়ে সর্বসাধারণ মালামাল পরিবহণ করতে দেখা গেছে। রংপুর সিটি কর্পোরেশনে মোট ৩৩টি ওয়ার্ডে জনসংখ্যা প্রায় ৭,৯৬৫৫৬ জন (২০১২ খ্রিষ্টাব্দ গণনা অনুযায়ী) সে তুলনায় সরকারী সাহায্য বরাদ্ধ অপ্রতুল্য তবে কিছু কিছু মানবিক সাহায্য সংস্থা সাহায্য প্রদান করলেও মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার লজ্জার কারণে সাহায্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এতে করে অনেক পরিবার নাখেয়ে অদ্ধহারে অনাহাড়ে দিনপাত করছেন অপরদিকে দিন আনা দিন কামাই করা পরিবারো কর্মহীন হয়ে পড়েছে তাদেরো ঘড়ে খাদ্য বলতে কিছুই নাই সে কারণে শিশু সহ বৃদ্ধ বনিক সবাই এখন পুষ্টিহীনতার স্বীকার হচ্ছে।
এই ধরনের লকডাউন দীর্ঘ দিন চলতেই থাকলে সরকারী উদ্দ্যগে খাদ্য ও নগদ অর্থ বিতরন না করলে পরিস্থিতি ভয়াভয় রুপ ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন।